কবি হতে চেয়ে।। ইসরাত জাহান সান্ত্বনা
- ইসরাত জাহান সান্ত্বনা
- Jun 29, 2021
- 1 min read
কবি হওয়ার তীব্র ক্ষুধা ছিল একদা; কবি হতে শুধু শব্দের ক্ষুধা নয়; সব প্রহরের কষ্ট ও সুখ সযতনে ছুঁয়ে দেখতে হয়। দ্বিগলয়ে মাঘের সন্ধ্যায় কালপুরুষ নামে; ধ্রুবতারা জেগে থাকে আদি ও অনন্ত। জীবনের ভুল ও পাপের হিসেব কষতে হয়। চোখে প্রেম ও মৃত্যু; ঘৃণা ও সুখকে চিনতে হয়-জানতাম না। ঘন গর্জণে আকুল বৃষ্টির বিষন্নতা; ভোরের শিশিরের বিন্দু ঘাসের বোঁটায়; লেখার স্বরবর্ণ দিতো। মেয়ে বেলার ভাঙ্গচু্র --ভাষার ওতটা ঔদার্য ছিল না। নিতান্তই পাঠক ছিলাম--নিবিড় মগ্ন শ্রোতাও। জীবনের সাতকাহন উপন্যাস হতে পারে -- ওটা বোঝার মতো সমঝদার ও ছিলাম না। কতটা বন-বনানী পেরোলে; কতটা বিষ-শ্বাস ফেলে বিষন্নতা ও সুখের ডায়াগ্ৰামে কতটা ছাঁচে ফেললে কবি হওয়া যায় সেই সাঁকো টাও পার হইনি। নির্জনতার মাঝে প্রলয়ের সুর কান পেতে শোনা যায় জানতে বড় দেরি হয়েছে। সাধু ও বৈষ্ণবীর রাগ ভৈরবী যদি তোমাকে না কাঁদায় তবে তুমি কবি নও--আটপৌরে মানুষ। উলু খোলার বনে প্রবারণা পূর্ণিমায় চন্দ্রগ্রস্ত মৃত্যুর অপেক্ষায় কবিরা থাকে; জীবনের ছোট-খাটো দুঃখগুলো নিতান্তই অবহেলে কবিরা ভুলে যায়; ভুলে যেতে হয় । কবি হতে হলে প্রেমিকের অনুভূতির প্রেমে পড়তে হয় প্রেমিক পুরুষের নয়; রোদ-বৃষ্টি-পূর্ণিমার প্রেমে পড়তে হয়! গভীর রাতে ছায়া রোদ্দুরে অসীমত্বে হারাতে হয়। কবিও যে অপ্রেমের যন্ত্রণায় ভেঙ্গে গুড়িয়ে যায় কবি হতে মৃত্যু কে বুক পেতে জীবনের তীব্র সুখের নকশী কাঁথার বুনন করতে হয়। কবি হতে চেয়ে আমি মরেছিলাম সাধারণ জনপদে। রেখে গিয়েছি অপ্রাপ্তি ও অপূর্ণতার কৃষ্ণপক্ষের দারুণ কাব্যকথা।
Comments